রুখসানা রিমি
————
বছরের দীর্ঘতম রাতে গিয়েছিলাম
চাঁদের দেশে তোমারই আমন্ত্রণে-
কৈশোরে একজন আমার মন ছুঁয়েছিল।
এতই অভাগা ছিল সে হাত ছোঁয়া দূরে থাক
আমার ভাল লাগার কথাও কখনো জানতে
পারলো না। বলতে না পারার সেই অব্যক্ত
যন্ত্রণা আজো আমায় তাড়িয়ে বেড়ায়।
একদা যন্ত্রণা ভাগ করার কেউ ছিল না।
আকাশের কবিকে পেয়ে যক্ষের ধন ভেবে
অনুরাগের আকাশে উড়তে উড়তে
তাঁর সাথে যন্ত্রণা ভাগ করতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু হায়, আকাশের কবি আমার যন্ত্রণা
শুষে নেওয়ার বদলে সুখের নীলে ডুবালো!
সুখের নীলে মিলেমিশে না বলা যন্ত্রণা আরো
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলো। দগ্ধ হৃদয়টা হাতে নিয়ে
তাই নদীর কাছে গেলাম। মিনতি করার
আগেই বাতাসের কবি এসে বলল, আমিতো
তোমার প্রাণের সঞ্জীবতা। আমায় বলো সখা
হৃদয়ে কত যন্ত্রণা তুমি পুষেছো গোপনে?
বাতাসের কবি, হে প্রাণের কবি তুমি আমায়
চাঁদের দেশে ঘুরালে। নানা বর্ণের ফুল দেখালে,
ফুলের ঘ্রাণে মোহিত হল প্রাণ। হৃদয়ে ফুটলো
গোলাপ। অজানা শিহরণে নেচে উঠলো অতৃপ্ত
আত্মা। স্বর্গীয় সুখের ঘ্রাণে উন্মাতাল আমি
এক সময় স্পর্শের আকাঙ্ক্ষা জানালাম।
তুমি মুচকি হাসি দিয়ে বললে- স্পর্শে কী হবে
আমিতো আছি অনুভবে চিরকাল।
হায়, অভাগি সুধা- তোমার কপালে আর
স্পর্শের আনন্দ জুটলো না!
Facebook Comments Box